অ্যান্টিগা টেস্ট হারের চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনেই। নিজেদের প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে একশর কোটা পূর্ণ করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য লড়াই করেছিল টাইগাররা। তবে সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। তৃতীয় দিন শেষেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। চতুর্থ দিনে বাকি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা, সেটি সারে উইন্ডিজ।
টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে ক্যারিবীয়দের অলআউট করে ২৬৫ রানে। এতে মাথায় ওপর ১৬২ রানের লিড দাঁড়ায়। এই রান শোধ দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রানের লিড বাংলাদেশের। নিজেরা করে ২৪৫ রান। ফলে ক্যারিবীয়দের সামনে ৮৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ৩ উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নিয়েছে তারা। এতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয় এক পাশে রাখলে সম্প্রতি সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সুখকর নয়। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে ফলাফল আনতে পারছিল না টাইগাররা। সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুলও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছিলেন না। এজন্য নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এই সিরিজ দিয়ে আবার অধিনায়কত্বে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। তার প্রত্যাবর্তন হলো পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এর আগে আরও একটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ দল। ৪ বছর আগের সে ম্যাচে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সফরকারী দলকে। সেই ম্যাচে ইনিংস ও ২১৯ রানে হেরেছিল সাকিবের দল। সে তুলনায় এবার মন্দ করেনি বাংলাদেশ!
৮৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে অবশ্য তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে কিছুটা খেই হারিয়েছিল ছিল উইন্ডিজ। ৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন জন ক্যাম্পবেল আর জার্মেইন ব্ল্যাকউড। অবিচ্ছেদ্য ৪০ রানের পার্টনারশিপে তৃতীয় দিন শেষ করেন তারা। যেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৯ রান তোলে ক্যারিবীয়রা।
আজ ম্যাচের চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান। ব্ল্যাকউড ৩৬ বলে ১৭ ও ক্যাম্পবেল ৪২ বলে ২৮ রান নিয়ে বাকি অনুষ্ঠানিকতা সারতে নামেন। খুব বেশি সময় নেননি তারা। দিনের প্রথম সেশনের আধাঘণ্টা না যেতেই জয় তুলে নেন।
সাড়ে ৪ সেশনের বেশি সময় হাতে রেখে পাওয়া এই ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধামে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ। যেখানে অর্ধশতক করে ক্যাম্পবেল ৫৮ এবং ব্ল্যাকউড ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে খালেদ একাই ৩ উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের সেরা বোলার তিনি।